এমব্রয়ডারি ডিজাইন – WILCOM
About Course
এমব্রয়ডারি ডিজাইন – উইলকম (WILCOM) কোর্স আউটলাইন
এই কোর্সটি এমন ব্যক্তিদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যারা এমব্রয়ডারি ডিজাইনিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান অথবা নিজেদের সৃজনশীলতাকে ডিজিটাল এমব্রয়ডারির মাধ্যমে প্রকাশ করতে চান।
১. উইলকম সফটওয়্যারের পরিচিতি ও বেসিকস
- উইলকম ইন্টারফেস পরিচিতি: সফটওয়্যারের মূল উইন্ডো, টুলবার, ডকার এবং মেন্যু পরিচিতি।
- ফাইল ম্যানেজমেন্ট: নতুন ডিজাইন তৈরি, সংরক্ষণ (Saving), খোলা (Opening), এবং বিভিন্ন ফরম্যাটে এক্সপোর্ট করা (যেমন DST, EMB)।
- ভিউ মোড (View Modes): ডিজাইনকে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে দেখা, জুম ইন/আউট, প্যানিং।
- কাস্টমাইজেশন: ওয়ার্কস্পেস সেটআপ ও ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী টুলবার সাজানো।
- ডিজাইন পরিচিতি: এমব্রয়ডারি ডিজাইনের মূল উপাদান (স্টিচ টাইপ, ডেনসিটি, আন্ডারলে) সম্পর্কে ধারণা।
২. বেসিক ডিজিটাইজিং টুলস
- ইনপুট টুলস (Input Tools):
- ইনপুট এ (Input A): সরল রেখা এবং বক্ররেখা দিয়ে ডিজাইন তৈরি।
- ইনপুট বি (Input B): জটিল আকার এবং বস্তুর জন্য ব্যবহৃত টুল।
- ইনপুট সি (Input C): কলাম বা সীমানা তৈরির জন্য।
- রান স্টিচ (Run Stitch): আউটলাইন ও সাধারণ সেলাই তৈরির জন্য।
- ট্রিপল রান (Triple Run): মোটা আউটলাইন বা সীমানা তৈরির জন্য।
- সাটিন স্টিচ (Satin Stitch): ঘন এবং উজ্জ্বল সেলাই তৈরির জন্য।
- ফিল স্টিচ (Fill Stitch/Tatami): বড় এলাকা ভরাট করার জন্য।
- ম্যানুয়াল স্টিচ (Manual Stitch): নিজের পছন্দমতো প্রতিটি সেলাই দেওয়ার জন্য।
৩. অবজেক্ট এডিটিং ও ট্রান্সফর্মেশন
- অবজেক্ট নির্বাচন ও গ্রুপ করা (Selecting & Grouping Objects): একাধিক অবজেক্ট নিয়ে কাজ করা।
- রিশেপ টুল (Reshape Tool): তৈরি করা ডিজাইন বা অবজেক্টের আকার পরিবর্তন করা।
- স্কেলিং ও রোটেটিং (Scaling & Rotating): ডিজাইনের আকার পরিবর্তন ও ঘোরানো।
- মিররিং ও ডুপ্লিকেট করা (Mirroring & Duplicating): ডিজাইনের প্রতিচ্ছবি তৈরি ও কপি করা।
- ওয়েল্ড (Weld) ও ট্রিম (Trim): একাধিক অবজেক্টকে একত্রিত করা বা ছেঁটে ফেলা।
- পুল কম্পেনসেশন (Pull Compensation): কাপড়ের টান বা কুঁচকে যাওয়া এড়ানোর জন্য সেটিং।
- আন্ডারলে (Underlay): সেলাইয়ের নিচে অতিরিক্ত সমর্থন স্টিচ যোগ করা।
৪. লেটারিং ও মনোগ্রামিং
- টেক্সট টুল (Text Tool): বিভিন্ন ফন্ট ব্যবহার করে লেখা তৈরি করা।
- লেটারিং এডিটিং: অক্ষরের আকার, স্থান, অ্যালাইনমেন্ট ও ঘনত্ব পরিবর্তন।
- মনোগ্রামিং (Monogramming): ব্যক্তিগত মনোগ্রাম ডিজাইন করা।
- ডিজিটাইজিং লেটার্স: কাস্টম ফন্ট বা লোগোকে এমব্রয়ডারিতে রূপান্তর করা।
৫. অ্যাডভান্সড ডিজিটাইজিং টেকনিকস
- অ্যাপিকে (Appliqué): কাপড়ের টুকরো যুক্ত করে ডিজাইন তৈরি।
- সিকুইন (Sequin): ডিজাইনে সিকুইন যোগ করা।
- করডিং (Cording) ও ট্যাপিং (Taping): বিশেষ সেলাই প্রভাব তৈরি করা।
- ব্রাঞ্চিং (Branching): জটিল ডিজাইন দ্রুত ডিজিটাইজ করা।
- ভেরিয়েবল সাটিন (Variable Satin): সাটিন স্টিচের ঘনত্ব পরিবর্তন করে বিশেষ প্রভাব।
- কন্ট্যুর ফিল (Contour Fill): অবজেক্টের কিনারা বরাবর সেলাই ভরাট করা।
- প্যারালাল ফিল (Parallel Fill): সমান্তরাল সেলাই দিয়ে ভরাট করা।
৬. ইমেজ প্রসেসিং ও অটো-ডিজিটাইজিং
- ইমেজ ইমপোর্ট (Importing Images): ছবিকে উইলকম সফটওয়্যারে আনা।
- বিটম্যাপ প্রসেসিং: ছবির গুণগত মান উন্নত করা।
- অটো-ডিজিটাইজিং (Auto-Digitizing): স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবিকে এমব্রয়ডারি ডিজাইনে রূপান্তর করা এবং এর সীমাবদ্ধতা বোঝা।
- ম্যানুয়াল ডিজিটাইজিং ফ্রম ইমেজ (Manual Digitizing from Image): ছবির উপর ভিত্তি করে হাতে ডিজাইন তৈরি।
৭. কাস্টমাইজেশন ও অপ্টিমাইজেশন
- ফেব্রিক ও থ্রেড সেটিং (Fabric & Thread Settings): বিভিন্ন কাপড়ের জন্য উপযুক্ত সেটিং।
- কালার ম্যানেজমেন্ট: থ্রেডের রং নির্বাচন ও পরিবর্তন।
- ট্রিম, জাম্প ও কানেক্টর (Trims, Jumps & Connectors): সেলাইয়ের সময় ট্রিম ও জাম্প কমানোর কৌশল।
- স্টপ ফাংশন (Stop Function): নির্দিষ্ট স্থানে মেশিন থামানোর কমান্ড।
- অপ্টিমাইজেশন ফর প্রোডাকশন (Optimization for Production): মেশিন সেলাইয়ের জন্য ডিজাইনকে অপ্টিমাইজ করা।
৮. ট্রাবলশুটিং ও প্র্যাকটিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন
- সাধারণ সমস্যা ও সমাধান (Common Issues & Solutions): সেলাইয়ের সমস্যা ও তাদের সমাধান।
- রিয়েল-ওয়ার্ল্ড প্রজেক্টস: বিভিন্ন পণ্যে (টি-শার্ট, ক্যাপ, লোগো) ডিজাইন তৈরি ও প্রয়োগ।
- কোয়ালিটি কন্ট্রোল: একটি ভালো এমব্রয়ডারি ডিজাইনের বৈশিষ্ট্য।
- ফ্রিল্যান্সিং টিপস: কিভাবে এমব্রয়ডারি ডিজাইনিং করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়।
The content is excellent, and the instructors are also excellent.
How much you learn from this course is pretty much what you put into it.